প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে সারা দেশ। টানা হিটওয়েভে ওষ্ঠাগত জনজীবন। তাপমাত্রার পারদ চড়াও যশোর-চুয়াডাঙ্গায়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এপ্রিলই শেষ নয়, এবারের মে মাস হবে আরও উত্তপ্ত। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের ১৩ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে খুলনা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনজীবনের স্বাভাবিকতা বিঘ্নিত হচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন শনিবার (২০ এপ্রিল) গরম আরও বাড়াতে পারে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকায় নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা বাড়তে পারে এবং অব্যাহত থাকতে পারে। তাই তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।