পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের মতো এবারও দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষে না হওয়া পর্যন্ত র্যাবের ব্যাটালিয়নগুলো নিজ নিজ এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও টহল জোরদার করেছে। রয়েছে পর্যাপ্ত গোয়েন্দা নজরদারি।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূল এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।
তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই যেন সব উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারেন সেজন্য র্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারাদেশে সর্বদা সজাগ রয়েছে। নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর টিএসসি, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, রমনা বটমূল, পূর্বাচলের ৩০০ ফিটসহ যেসব এলাকায় মানুষের সমাগম হবে সেখানে পেট্রোলসহ সুইপিং করা হবে। এসব এলাকায় আমাদের গোয়েন্দা টিম সার্বিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। সারাদেশব্যপী আমাদের রিজার্ভ টিম, কন্ট্রোল রুম স্থাপন, সিসি ক্যামেরা মনিটরিং থাকবে।
যেকোনো হামলা মোকাবিলায় আামাদের স্পেশাল কমান্ডো টিম প্রস্তুত থাকবে। জঙ্গি হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমরা আত্মতৃপ্তিতে ভুগছি না। গোয়েন্দা তথ্য ও সাইবার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গিদের যেকোনো ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে র্যাব সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভার্চুয়াল জগতে যেকোনো ধরণের গুজব বা উস্কানিমূলক বা মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য র্যাব সাইবার জগতে সার্বক্ষনিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে ইভটিজিং বা উত্যক্ত করার ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কেউ উত্যক্তের শিকার হলে র্যাবকে জানাবেন। আমরা যথাযথ আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
র্যাব প্রধার বলেন, র্যাব সদর দফতর থেকে কঠোরভাবে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। আশা করছি প্রতিবারের মতো এবারও সারাদেশব্যপী উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপিত হবে।