বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে এবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৩ সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এরা বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে এই ৩ সদস্য পালিয়ে আসে।
সংবাদ পেয়ে বিজিবি সদস্যরা গিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা অস্ত্র জমা নেয়ার পর তাদের হেফাজতে নেয়া হয়। এদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ৩ জন পালিয়ে আশ্রয় নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি বিস্তারিতভাবে নেয়া হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে বিজিবির দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজী হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৩ জনকে হেফাজতে নেয়ার পর বিজিবি সদর দফতরে অবহিত করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
এর আগে ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিল ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ -বিজিপি সদস্যরা। এরাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছে। তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
তারও আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বিজিপি সহ ৩৩০ জন। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। এদের ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।