বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের দমন নীতির শিকার বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় গুলশানের বাসায় আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন বেগম খালেদা জিয়ার। এ সময় তাকে হাসপাতালে নেয়ার সব আয়োজন করা হলেও, রাতে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়া হয়। বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার এমন পরিস্থিতির সব দায় আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার একটা ফ্যাসিস্ট সরকার। দমন-নিপীড়ন না করলে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। তাদের দমনের প্রথম শিকার দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি বন্দি, মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। গতকাল (বুধবার) রাতেই তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যে, চিকিৎসক ভেবেছিলেন আর বোধহয় সময় পাওয়া যাবে না। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, আপাতত বিপজ্জনক অবস্থান থেকে তাকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার’ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। এই আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আটক করে বিভিন্ন মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়। এখনও তিনি নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।
গণতন্ত্রের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো।
গুম, খুন ও নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার হওয়া পরিবারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ অবস্থা সারা দেশের, শুধু বিএনপি নয়। পুরো বাংলাদশের মানুষের একই অবস্থা। পুরো দেশের মানুষ ভয়ে আতঙ্কে থাকেন- কখন, কাকে ও কীভাবে তুলে নিয়ে যায়; কোনও নিশ্চয়তা নেই।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।