স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে এই প্রক্রিয়ায় কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে সেই বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
একনেক সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদন দেওয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে আট হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে সাত হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
সরকারপ্রধান নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কী সুবিধা মিলবে আর কী চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো নিয়ে এখন থেকেই তৎপর থাকতে হবে। এছাড়া, যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে, সেসব প্রকল্পে দ্রুত অর্থছাড় করে সমাপ্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
একনেক সভায় মিসরে চ্যান্সারি হাউজ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে প্রবাসীদের সেবাদানের জন্য বুথ ও অপেক্ষার জায়গা রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া, বাংলাদেশের সব জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি সেখানে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁত বোর্ডের নতুন কমপ্লেক্সে নারীদের প্রশিক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে কুড়িগ্রামের সব উপজেলার নদীভাঙন রোধ, রাস্তাঘাট নির্মাণে ভাঙনের ঝুঁকি মাথায় রেখে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।