জনতা ব্যাংকের এক শাখায় গ্রাহকদের টাকা উধাও

0
100

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে লোপাট হাওয়া জনতা ব্যাংকের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার হদিস এখনো মেলেনি। এরইমধ্যে ব্যাংকের তামাই শাখার গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কমে যাওয়ায় প্রমাণ মিলছে।

এদিকে টাকা লোপাটের খবরে ব্যাংকে ভিড় করছেন গ্রাহকরা। টাকা লোপাটের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের অনুসন্ধান টিম।

নিজেদের সম্পদ বন্ধক রেখে বেলকুচির তামাই শাখার জনতা ব্যাংক থেকে সিসি লোন করিয়েছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

বুধবার সকালে ব্যাংকে হাজির হয়ে দেখেন কারো অ্যাকাউন্টে ৫ লাখ, কারো ১৫ লাখ বা কারো আরও বেশি টাকার হদিস নেই।

এর আগে গত ২৪ মার্চ এই শাখারই ভল্ট থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উধাওয়ের ঘটনা প্রকাশ পায়। এর পরই ব্যাংকে ভিড় জমান গ্রাহকরা। হিসাব বিবরণী তোলার পর দেখতে পান গরমিল।

জনতা ব্যাংকের বেলকুচির তামাই শাখার পিয়ন মো. শহিদুল ইসলাম জানান, কর্মকর্তাদের নির্দেশে বিভিন্ন সময় টাকা জমার স্লিপ ও চেকের পাতায় স্বাক্ষর করেছেন। তবে তা নিয়ে ম্যানেজার কী করেছেন সেটা তিনি জানেন না।

এদিকে হিসাবে গরমিলের ঘটনা তদন্ত করছে জনতা ব্যাংকের তদন্ত টিম, তবে এখনই কিছু জানাতে চাননি এর সদস্যরা।

জনতা ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) সাদিকুর রহমান জানান, তদন্ত চলছে। বিস্তারিত প্রতিবেদনের পর জানা যাবে।

ব্যাংকের অর্থ লুটে হ্যাকারের দায় স্বীকারব্যাংকের অর্থ লুটে হ্যাকারের দায় স্বীকার
গ্রাহকরা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে দীর্ঘ দিন থেকে এই শাখায় অনিয়ম হয়ে আসছে। টাকা গরমিলের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি তাদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here