গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে : গয়েশ্বর চন্দ্র

0
70

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে’ বলে দলের অবস্থান জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিন সকালে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণের পর তিনি এ কথা জানান।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘৫৩ বছর পর আজ দেখছি, যে কারণে আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি সেই কারণটি এখনো বলবৎ। অর্থাৎ এখনো গণতন্ত্র নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই, এখনো মানুষের বাকস্বাধীনতা নাই, এখনো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি, এখনো মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। লুটতরাজ লুণ্ঠনের মধ্য দিয়ে জাতীয় অর্থনীতি অর্থাৎ জাতির অর্থনীতির কোষাগার আজকে খালি হয়ে গেছে এবং আকাশচুম্বি জিনিসপত্রের দামে আজকে মানুষ দিশেহারা।’

তিনি বলেন, ‘এই মহান দিনে আমরা এখানে এসেছি যার ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা হয়েছিল সেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পূর্ণ প্রবর্তক এবং যিনি আধুনিক বাংলাদেশ, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেছেন সেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে এবং তার আত্মার জন্য দোয়া করতে। আজকে এই প্রাঙ্গন থেকে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে আমাদের আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে, লড়াই চলতে থাকবে।’

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা প্রবাহ এবং মেজর জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার পটভূমি তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা সন্তান হারা মায়ের কান্না থামাতে পেরেছিলাম। স্বামীহারা, বোনহারা এই স্বজনহারাদের ব্যথা আমরা এক পর্যায় কাটিয়ে দেশের দিকে তাঁকিয়ে স্বাধীনতার কথা চিন্তা করে সেই আমাদের দুঃখ-কষ্ট সেদিন নিরসন করতে না পারলেও এই স্বাধীনতায় অত্যন্ত আপ্লুত ছিলাম। আমাদের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জনের আনন্দ ছিল। সেটার ক্রমান্বয়ে আজ ৫৩ বছর পর আমরা কী দেখছি? আমরা দেখছি, যে কারণে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি সেই কারণটি এখনো বলবৎ।’

সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আবদুল মঈন খান জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অপর্ণ করে শ্রদ্ধা জানান। তারা মরহুমন নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

এ সময়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফরহাদ হালিম ডোনার, মাসুম আহমেদ তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, রফিক শিকদার, এস এম জাহাঙ্গীর, রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মহানগর উত্তরের আমিনুল হক, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুব দলের মোনায়েম মুন্না, উলামা দলের নেছারুল হক, জাসাসের লিয়াকত আলী, ছাত্র দলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দীন নাছির, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপির খন্দকার আবু আশফাক প্রমুখ নেতারা ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here