বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, যারা জোর করে ক্ষমতায় আছে, দেশের জনগণ এই ডামি সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগনের সেবা নয়, ক্ষমতায় টিকে থাকা বর্তমান সরকারে একমাত্র লক্ষ্য। দেশে কোনো নির্বাচনি ব্যবস্থা নেই, সব ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চলছে এবং ডামি সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে গুম-খুনের শিকার ও কারা নির্যাতিত দলীয় নেতাকর্মী এবং তাদের পরিবারের সম্মানার্থে বিএনপি খুলনা মহানগরীর উদ্যোগে খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান আরও বলেন, দেশে যখন একদলীয় সরকার কায়েম হয়, তখন পরিস্থিতি এখনকার মতোই হবে। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে সরকার। সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বর্তমান ডামি সরকার একটি দেশের কৃতদাসে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি দেশে একটি ডামি নির্বাচন হয়েছে। বিএনপির আহবানে সাড়া দিয়ে ৬২টি রাজনৈতিক দল জনগণের কাছে ভোট বর্জনের আহবান জানিয়েছিল। জনগণ সাড়া দিয়ে জনগণ ভোট বর্জন করেছে। আওয়ামী লীগের নেতারাই বলেছেন, বিএনপির নেতাদের জেলে না রাখলে তারা নির্বাচনের মাঠে থাকতে পারত না। ৭ জানুয়ারি দেশের জনগণ একটাই মেসেজ দিয়েছে— তারা ডামি সরকারের পক্ষে নাই, জনগণ বিএনপির সঙ্গে আছে।
শান্তিপুর্ণভাবে সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিএনপি জনগণকে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চায়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ততদিন চলবে যতদিন না এই ডামি সরকার বিদায় নেবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। আলোচনা শেষে নিহতদের আত্মার শান্তি ও আহতদের সুস্থতা কামনা এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা করা হয়।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সভায় আরও ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা নার্গিস আলী, প্রকৌশলী আকরাম হোসেন তালিম, মোজাফ্ফর আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।