সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারামারির ঘটনায় তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে অব্যাহতি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। তারা হলেন- সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাকির হোসেন মাসুদ, কাজী বশির ও শামা আক্তার।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সোমবার (১১ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ থেকে তাদের বরখাস্ত করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ ও অ্যাডভোকেট শ্যামা আক্তারের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে অত্র মন্ত্রণালয়ের বিগত ১২/০৬/২০১৭ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর/২০০৯-৪৬ নং, ১৯/১০/২০১৭ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর /২০০৯-৮৬ নং ও ০৭/০৭/২০১৯ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর/২০০৯-৬৩ নং স্মারকে প্রদত্ত নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে তাদের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ (এস আর সিদ্দিকী সাইফ)। মামলায় আইনজীবী নাহিদ সুলতানাসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে চারজনকে আইনজীবী নাহিদ সুলতানার বাসার বাইরে থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। আর আইনজীবী ওসমান চৌধুরীকে শাহবাগ থানা-পুলিশ সুপ্রিম কোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
মামলায় ২০ জন আসামির মধ্যে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসও রয়েছেন। নাহিদ সুলতানা যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন আইনজীবী মো. জাকির হোসেন মাসুদ, শাকিলা রৌশন, কাজী বশির আহম্মেদ, ওসমান, আরিফ, সুমন, তুষার, রবিউল, চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা, সাইদুর রহমান, অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন, মশিউর রহমান, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, তরিকুল ও সোহাগ। তারা সবাই আইনজীবী। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।