মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনার কারণে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে টেকনাফ ঘাট থেকে পর্যটকবাহী চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে, কক্সবাজার থেকে ৩টি জাহাজ যথারীতি কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচল করবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, উদ্ভূত সীমান্ত পরিস্থিতিতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে সাময়িকভাবে জাহাজ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে প্রয়োজনীয় অনুমোদন সাপেক্ষে জাহাজ চলাচল করবে।
কবে নাগাদ টেকনাফ ঘাট থেকে আবার ভ্রমণ করা যাবে? এমন প্রশ্নে ইয়ামিন হোসেন বলেন, এটি সাময়িক সিদ্ধান্ত এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে, বুধবার রাতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে জন্য কক্সবাজার-টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
তার আগে, সকালে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন বিওপি পরিদর্শনকালে বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুল জামান সিদ্দিকী এই রুটে ভ্রমণ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ২৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে।