পাকিস্তানে ১৬তম জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচন শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে দেশটিতে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই ভোট গ্রহণ। ভোট গ্রহণের জন্য পাকিস্তাজুড়ে ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। খবর ডনের।
সব মিলিয়ে ১৭ হাজার ৮১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই নির্বাচনে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৬৯৫ জন প্রাদেশিক পরিষদের আসনে এবং ৫ হাজার ১২১ জন জাতীয় পরিষদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রার্থীদের ১৬ হাজার ৯৩০ জন পুরুষ, ৮৮২ জন নারী এবং চারজন ট্রান্সজেন্ডার রয়েছেন।
ভোটাররা জাতীয় পরিষদে ২৬৬ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন যারা পরে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন। পাশাপাশি ভোটাররা তাদের নিজ নিজ প্রাদেশিক পরিষদে প্রতিনিধিও নির্বাচন করবে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের একই প্রক্রিয়ায় প্রাদেশিক প্রধান নির্বাহীদের নির্বাচন করবে ভোটাররা।দুটি বিধানসভার প্রতিটির জন্য একটি করে ভোটাররা মোট দুইটি ভোট দেবেন।
দেশটিতে মোট নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ জন।এর নধ্যে ৩৫ বছরের কম বয়সী ভোটার আছেন ৫ কোটি ৬০ লাখ এবং ৩৬ থেকে ৪৫ বছর বয়সসীমার মধ্যে আছেন ২ কোটি ৯০ লাখ ভোটার। অর্থাৎ, পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম এই নির্বাচনের ফলাফলকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে একটি জাতীয় ও তিনটি প্রাদেশিক বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এগুলো হলো এনএ-৮ (বাজাউর), পিকে-২২ (বাজৌর), পিকে-৯১ (কোহাট) এবং পিপি-২৬৬ (রহিম ইয়ার খান)।