মিয়ানমারের জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘাতে উত্তপ্ত বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাও। এরই মধ্যে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে প্রাণ হারিয়েছেন এক বাংলাদেশি নাগরিক। আতঙ্কে ঘরছাড়া সীমান্ত এলাকার মানুষজন। ইতিমধ্যেই জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশটির হপাকান্ত ও মানসি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
এদিকে আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের দুই শতাধিক সদস্য।
এমন পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত এবং বাংলাদেশে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয়ের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্নের প্রায় এক সপ্তাহ পর এ বিষয়ে লিখিত জবাব দেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
মিলার বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা ইস্যুতে এতদিন ধরে যেমন সহায়তা দিয়েছে তেমনি এখনো সব ধরনের সহায়তা দেবে মার্কিন সরকার।
এছাড়াও জান্তা বাহিনীর সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে মিয়ানমারে চরম মানবিক সংকটের পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে বলেও মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। অবিলম্বে মিয়ানমারের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানায় দেশটি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। ধারণা করা হচ্ছে যে, এ মুহুর্তে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পার করছে তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই উত্তেজনা চলতে থাকলেও এতোটা কোনঠাসা পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে এর আগে আর পড়তে হয়নি। এরই মধ্যে বিদ্রোহীদের প্রতিহত করতে জান্তাদের পাল্টা হামলায় এক বিদ্যালয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।