ভরা মৌসুমেও অস্থির শীতকালীন সবজির বাজার। স্বস্তি ফিরছে না কোনো কিছুতেই। মুলা ও পেঁপে ছাড়া সব সবজিই কিনতে হচ্ছে ৮০ টাকার ওপরে কেজি দরে। তা ছাড়া চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় আছে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগি, ডিম।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
শীতের শুরুর দিকে যে বেগুন বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এখন সেটি ঠেকেছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ফুলকপি ৭০ থেকে ৯০ টাকা (পিস), মিষ্টি কুমড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা (পিস), লাউ ১০০ থেকে ১২০ টাকা (পিস), পেঁপে ৫০ টাকা ও মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির পাশাপাশি বাজারের অধিকাংশ পণ্যের লাগামহীন দামে দিশেহারা ক্রেতা। বর্তমানে প্রতি কেজি মসুর ডাল ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা এবং গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর টাউন হলে বাজার করতে আসা সোহরাব নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, যেটাই ধরি সেটির দামই আগুনের মতো। মধ্যবিত্ত দূরে থাক, নিম্নবিত্তের তো কেনার প্রশ্নই আসে না। কারণ, কোনো কিছুর দামই কম না। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। সরকার আজ বলে দাম কমবে। পরদিন থেকেই দাম চড়ে যায়।
তবে বিক্রেতার বলছেন, ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণ দেখিয়ে বাড়ানো হয়েছে সব ধরনের সবজির দাম। কৃষকরা বলেছেন, কুয়াশার জন্য ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর জন্য দাম বাড়ছে।
এদিকে, বাজারে চালসহ বেশকিছু খাদ্যপণ্যও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। নির্বাচনের পরে প্রতি কেজি চালের দাম ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। এখনো সে দাম স্বাভাবিক হয়নি। বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম গত সপ্তাহে প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা এবং পাম তেল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। আগের সপ্তাহের তুলনায় যা ৫ টাকা বেশি।