খবর ৭১:বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবারও আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল চ্যানেল 24 কে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কয়েকদিন আগে আবেদন করা হয়েছে। যেটা পরে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গত সোমবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে আইনের বিদ্যমান অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১)-এর ধারার ক্ষমতাবলে শর্ত যুক্তভাবে তার সাজা স্থগিত রেখে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায়। এখন আইনের যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয় তাহলে খালেদা জিয়াকে দেওয়া শর্তযুক্ত মুক্তি আগে বাতিল করতে হবে। বাতিল করে আগের অবস্থায় যাওয়ার পর আবার অন্য বিবেচনা করা যাবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আবেদন সরাসরি আইন মন্ত্রণালয়ে করা যায় না। সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হবে। আইন মোতাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি মতামতের জন্য সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে গিয়েই বিদেশ যাওয়ার আবেদন করতে হবে। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে হলে তাদের নতুন করে আবেদন করতে হবে। তখন আগের আদেশ বাতিল হয়ে যাবে। আদেশ বাতিল হয়ে গেলে তিনি (খালেদা জিয়া) বাইরে থাকতে পারবেন না।
তবে ড. শাহদীন মালিক গণমাধ্যমকে বলেন, ৪০১ ধারা অনুযায়ী শর্ত পরিবর্তনে আইনগত কোনো বাধা নেই। সরকার বেশ কয়েকবার তার কারামুক্তির মেয়াদ বর্ধিত করেছে। অর্থাৎ শর্ত পরিবর্তন করেছে। অতএব বিদেশে চিকিৎসার জন্য নির্বাহী আদেশে যে বেগম খালেদা জিয়া ঢাকায় থাকবেন এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। এখানে ঢাকা শব্দটা বাদ দিয়ে নতুন আদেশ জারি করতে আমি আইনগত কোনো বাধা দেখি না।