খবর ৭১: পুলিশের তল্লাশি ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দের ক্ষমতা, পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতারসহ নিবর্তনমূলক ধারা বহাল রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) জাতীয় সংসদে তড়িঘড়ি করে পাশ করতে যাওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ, মতামত ও প্রস্তাবনা উপেক্ষা করে দমনমূলক ধারাসহ আইনটি সংসদে পাশ করা হলে তা সাংবাদিক সমাজের কাছে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মনে করে পেশাদার রিপোর্টারদের এ সংগঠন।
রোববার এক বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এ প্রতিবাদ জানান।
তারা বলেন, ডিআরইউ পেশাদার রিপোর্টারদের সবচেয়ে বড় সংগঠন। সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষতা অর্জন ও মানোন্নয়নসহ তাদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় ডিআরইউ নিরন্তর, আপসহীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু ডিআরইউ অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছে, সম্প্রতি সাইবার নিরাপত্তা আইন ইস্যুতে অনুষ্ঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ডিআরইউ’র কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। তাই এ ঘটনায় সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বিলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিতকরণের কথা বলা হলেও এর অধীনে বর্তমানে তদন্ত ও বিচারাধীন ৬ হাজার মামলা নতুন আইনেও বিচারের বিধান রাখা হয়েছে। এটা স্ববিরোধীতা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বরাবর প্রস্তাবনা এবং সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। তা আমলে নিয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনটি পুনর্বিন্যাসের দাবি উঠলেও তাতে কর্ণপাত করা হচ্ছে না।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, আইনটি সংশোধন ছাড়া জাতীয় সংসদে পাশের মাধ্যমে কার্যকর হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই তা স্বাধীন মতপ্রকাশ ও মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য হুমকী হবে। আইনটি সংসদে পাশের আগেই বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার, তল্লাশি ও জব্দের পুলিশী ক্ষমতা সংক্রান্ত ৪২ নং ধারাসহ নিবর্তনমূলক সকল ধারা বাতিল ও বিতর্কিত ধারা সংশোধন করার জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।