খবর ৭১: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের সুরক্ষিত গুদাম থেকে ৫৫ কেজি ৫১ গ্রাম স্বর্ণ চুরির ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা চলছে।গোয়েন্দা পুলিশ এই ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে। ফুটেজ গায়েব করা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
হারুন বলেন, যারা বদলি হয়েছেন, যারা নতুন এসেছেন, আগে-পরে যারা সেখানে যাতায়াত করেছেন, তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।তিনি বলেন, প্রথমে পত্রপত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশের পরই আমরা ৫৫ কেজি স্বর্ণ গায়েবের তথ্য পাই। মামলা হওয়ার পর থানা পুলিশ তদন্ত করছিল। আমরাও ছায়াতদন্ত করছিলাম। পরে মামলার তদন্তভার ডিবিতে দেওয়া হয়।তিনি আরও বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে আমরা অনুরোধ করেছি, যারা গুদামে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই। এর পরিপ্রেক্ষিতে আটজনকে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে চারজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, চারজন সিপাহী। হারুন বলেন, বিমানবন্দরের মতো জায়গায় যেখানে কঠোর নিরাপত্তা, সেখান থেকে সোনা গায়েবের ঘটনা আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। নিয়মানুযায়ী যারা বদলি হবেন, তারা নতুনদের কাছে সব কিছু বুঝিয়ে দেবেন। সেখানে কারা কারা গেছেন, অন্য কারো যোগাযোগ ছিল কি না, দায়িত্ব হস্তান্তরে কোনো সমস্যা ছিল কি না, যথাস্থানে সিসিটিভি লাগানো ছিল কি না, নষ্ট ছিল কি না সব দেখা হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নিয়ে আসব।
তিনি বলেন, যারা দায়িত্বে ছিলেন ও নতুন দায়িত্বে বদলি হয়ে যারা এসেছেন, সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে বোঝা যাবে। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, বিমানবন্দরের মতো একটি জায়গায় এতো পরিমাণ সোনা চুরি হয়ে গেল, অথচ কেউ কিছু জানল না!কাস্টমসের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা জড়িত কি না, জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কেউ জড়িত থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না।সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট থানার জানার কথা, কর্তৃপক্ষও জানবে, স্বাভাবিক। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা বের করতে পারব বলে আশা করছি।অনুমতি ছাড়া যেখানে যাওয়া যায় না। সেখানে ডিবি কর্মকর্তারা গেলেও অনুমতি লাগে। এই পরিস্থিতিতে ডিবির তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত হবে কি না, জানতে চাইলে হারুন বলেন, আমরা মনে করি, তারা তদন্তে আন্তরিকতা দেখাবেন এবং সহযোগিতা করবেন। আশা করছি আমরা স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে পারব। ক্যাডার বা নন ক্যাডার বলে নয়, অপরাধ তো অপরাধই। অপরাধী যে-ই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।