খবর ৭১: দিন যতই যাচ্ছে, আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। আগস্ট মাসের প্রথম ১৮ দিনেই ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। চলতি মাসের এপর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪৪ হাজার ৪৫ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২০২ জনের।
গত জুলাইয়ে রেকর্ড ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যু হয়েছিল ২০৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ হবে। আগামী দিনগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এজন্য তারা জরুরি ভিত্তিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন।
অধিদফতরের তথ্য মতে, গত জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টের ১৮ দিনে ৪৪ হাজার ৪৫ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ২০২ জনের।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদফতরের খাতায় নেই।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ৮৭৭ জনে। এর মধ্যে ঢাকা শহরে ৪৬ হাজার ৯৩৩ জন ও ঢাকার বাইরে ৪৮ হাজার ৯৪৪ জন। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা শহরে ৩৪৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ১১০ জন।
রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ঢাকার রোগীর চাপ কিছুটা কমেছে। তবে বাইরে থেকে আসা রোগীর চাপ দিন দিন বাড়ছে। চিকিৎসক এবং প্রয়োজনীয় জনবল বাড়ানো হলেও রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, রাজধানীতে ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ঢাকার বাইরে সাত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।