খবর ৭১: যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে ওই নির্বাচনের ফল পাল্টানোর চেষ্টা করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প— তিন বছর পর এমন অভিযোগে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা, স্বাক্ষীকে হেনস্তা এবং রাষ্ট্রের জনগণের অধিকারের বিরুদ্ধে প্রতারণা করার অভিযোগ।
তবে ৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনো ধরনের অন্যায় করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এর আগে রাষ্ট্রের গোপন নথির অপব্যবহার এবং এক পর্ন তারকাকে অর্থের মাধ্যমে মুখ বন্ধ রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল ট্রাম্পকে। এখন তার বিরুদ্ধে আনা হলো তৃতীয় অভিযোগ।
২০২০ সালের নির্বাচন ট্রাম্প হেরে যাওয়ার পরবর্তী দুই মাস এবং ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি তার সমর্থকদের হামলার বিষয়টির ওপর তদন্ত করা হয়েছে।
আর এ তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের নিয়োগকৃত বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ। তিনি মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বলেছেন, ‘আমাদের রাজধানীতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির হামলাটি আমেরিকার গণতন্ত্রের ওপর গুরুতর আঘাত ছিল।’
৪৫ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে ট্রাম্প ছাড়াও ৬ জন অজ্ঞাত ষড়যন্ত্রকারীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যারমধ্যে চারজন হলেন আইনজীবী, একজন বিচার বিভাগের কর্মকর্তা এবং অপরজন একজন রাজনৈতিক পরামর্শক।
অভিযোগপত্রে অভিযোগ করা হয়েছে ট্রাম্প ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্র, অসাধু উপায়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন।
এছাড়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ভোটের কারচুপির যে অভিযোগ করেছিলেন তা পুরোপুরি মিথ্যা এবং তিনি নিজে জানতেন তার অভিযোগ মিথ্যা।
এতে আরও বলা হয়েছে, তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের দ্বারা জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্টে হিসেবে কংগ্রেসের স্বীকৃতি আটকাতে ব্যর্থ হন ট্রাম্প। তা সত্ত্বেও দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।
অভিযোগপত্রে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও ট্রাম্পের নির্বাচন ক্যাম্পেইনের কর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে— যারা সাবেক প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছিলেন তিনি নির্বাচনে হেরে গেছেন এবং ভোটে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি।
এদিকে আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দৌঁড়ঝাপ করছেন ট্রাম্প। এরমধ্যেই তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হলো। তবে বিষয়টিকে ট্রাম্পের নির্বাচন ক্যাম্পেইন দলের পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচনে হস্তক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি