খবর ৭১: বিএনপি ও আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনকে শুক্রবার সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি নয়াপল্টনে এবং আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এ অনুমতির কথা জানান। ডিএমপি কমিশনার বলেন, সম্মান প্রদর্শন করে আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গ-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ও বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো। আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গ সংগঠনকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে ও বিএনপিকে পল্টন দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের আশুরার নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ থাকার পরও রাজনৈতিক দলগুলোকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৩টি শর্তে বিএনপি নয়পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও আওয়ামী লীগকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আজ সমাবেশ ছিল। কার্যদিবসে সমাবেশ না করায় পুলিশ ও নাগরিকদের পক্ষ থেকে দুই দলকেই ধন্যবাদ জানাই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই দলের সমাবেশস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ, এপিবিএনসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেছন, সবকিছু বিবেচনাপূর্বক শুক্রবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য যে প্রক্রিয়া, সেটা আমরা অবলম্বন করেছি। পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। এ সময় সমাবেশকে ঘিরে বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, গ্রেপ্তারের সংখ্যা পাঁচশর বেশি। গতকাল থেকে শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেই সমাবেশ করার কথা জানিয়েছে। দুই দলই প্রথমে বৃহস্পতিবার সমাবেশ করতে চেয়েছিল। পরে বুধবার রাতে প্রথমে বিএনপি এবং পরে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন সমাবেশ এক দিন পিছিয়ে শুক্রবার নেয়। রাজধানীতে সমাবেশ করতে হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই শর্ত মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, রাস্তায় কোনো ঝামেলা করা যাবে না, জনদুর্ভোগ করা যাবে না।