খবর ৭১: ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বনানী থানার মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামির মধ্যে দুইজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া অপর পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রিমান্ডে যাওয়া দুই জন হলেন- ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেন। কারাগারে যাওয়া পাঁচজন হলেন- মাহমুদুল হাসান, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লা।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব পৃথকভাবে এ আদেশ দেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করে ছানোয়ার ও বিপ্লবের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক নুরে উদ্দিন।
অপর পাঁচজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি। আসামিপক্ষে আইনজীবী প্রথম দুইজনের রিমান্ড বাতিল আগে জামিন এবং বাকিদের পক্ষে শুধু জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ছানোয়ার ও বিপ্লবের তিন দিনের রিমান্ড ও বাকিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বনানী মডেল থানায় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বনানী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় সাতজন আসামি ইতোমধ্যে থানায় গ্রেপ্তার রয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় হিরো আলম বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান।
প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ৫-৬ সহযোগীসহ হিরো আলম বের হয়ে আসার সময় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জন গতিরোধ করেন। এ সময় তারা হিরো আলমকে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে আক্রমণ করেন এবং এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকেন। মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজন হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে আরেকজন এসে হিরো আলমের তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।
বাদী এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানা-হিঁচড়া করেন। এ সময় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব খন্দকার, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারধর করে জখম করেন আসামিরা।