সংসদের বিলুপ্তি চেয়ে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

0
109

সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করার দাবির মধ্য দিয়ে বিএনপি দেশে একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) সম্মেলন কক্ষে ‘গন্তব্য স্মার্ট বাংলাদেশ’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি ঘোষিত একদফার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা মাঝেমধ্যেই এমন কর্মসূচি দেয়। গত বছর একবার একদফা ঘোষণা করে বলেছিল খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে এসে সভায় যোগ দেবেন। তারেক রহমান উড়ে এসে সভায় বক্তব্য রাখবেন।

তিনি বলেন, তারেক রহমান কীভাবে উড়ে আসবে তারা সেই ব্যাখ্যা দেয়নি। আমরা ধরে নিয়েছিলাম সম্ভবত ‘বোরাকে’ চড়ে আসবেন। কিন্তু সেই আন্দোলন গরুর হাটে মারা গেছে। আবার খালেদা জিয়াকে মাঝেমধ্যে খুব অসুস্থ বানিয়ে ও তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে প্রচার চালিয়ে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছে। সেগুলো হালে পানি পায়নি। গতকাল (বুধবার) তারা পুরোনো কথাই নতুন করে বলেছেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যে দাবি দিয়েছে, সেখানে সংসদ বিলুপ্ত করার কথা বলেছে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী, পরবর্তী সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সংসদ বহাল থাকে। সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি দুরভিসন্ধিমূলক। বিরোধীরা বিভিন্ন সময় সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি করে। সেটা তারা করতেই পারে। সেই অধিকার তাদের রয়েছে। সংসদ বিলুপ্ত করার দাবির মধ্য দিয়ে তারা আসলে দেশে একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চায়।

মন্ত্রী বলেন, এভাবে অসাংবিধানিক কোনো কিছুকে তারা জায়গা করে দিতে চায়। সেটার জন্য তারা সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছে। যেটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার হীন উদ্দেশ্যে বিএনপি এই দাবি করেছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও মার্কিন প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের এ সফর আমাদের উন্নয়ন ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে সহায়ক। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রেও সহায়ক। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের আগমন নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। আর মার্কিন প্রতিনিধি দলের আগমন সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলেও জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here