খবর ৭১: ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্রুত বাড়ছে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি। সেই সঙ্গে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড় ও বড়াল নদীর পানিও। এদিকে, যমুনায় পানি বাড়ার ফলে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে যেতে শুরু করেছে চরাঞ্চলের বিভিন্ন ফসলি জমি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১৫ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০)।
অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০)।
সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের শাহাদৎ হোসেন, আল-আমিন শেখ, নজরুল, আকসেদ আলীসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, প্রতি বছর বন্যা আসার আগেই কয়েক দফা যমুনায় পানি বেড়ে যায়। এতে আমাদের ফসলের অনেক ক্ষতি হয়। নিচু জমির ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। সবজি, তিল, কাউন, মরিচ ও পাটসহ অন্যান্য ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। তবে উঁচু জমিতে এখনো পানি ওঠেনি। পানি ওঠার আগেই যদি ফসলগুলো কাটতে পারেন, তবে নিচু জমিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামীমুর ইসলাম বলেন, কয়েক দিন যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে যমুনার চরাঞ্চলের নিচু এলাকার কিছু অংশের ফসলের জমিতে পানি উঠেছে। তবে এতে কৃষকের তেমন একটা ক্ষতি হবে না। বন্যা আসার আগেই যদি তারা ফসলগুলো ঘরে তুলতে পারবে সে বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, উজানে ও দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন ধরেই যমুনার পানি বাড়ছে। এতে চরাঞ্চলের নিম্নভূমিগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। আরও কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।