খবর ৭১: আমদানি শুরুর খবরে সোমবার কাঁচা মরিচের দাম নেমেছিল ২০০ টাকার ঘরে। আজ (মঙ্গলবার) আবারও দাম বেড়েছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে দেশি মরিচের সরবরাহ কম থাকায় আমদানি দিয়ে দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। সরবরাহ কম হওয়াতে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে গেছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আর এক কেজি কিনলে দাম রাখা হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আবার কোথাও এক পোয়া মরিচের দাম ১০০ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পাইকারি কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী আবদুল বাসেদ মোল্লা জাগো নিউজকে জানান, সরবরাহ কম হওয়ার কারণে পাইকারিতেও কাঁচা মরিচের দাম আবারও বাড়লো। এখন প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজি পড়ছে ২৪০ টাকা। আর ভারত থেকে আমদানি হওয়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা পাল্লা। গতকাল (সোমবার) মরিচের দাম ৮০০ টাকা পাল্লায় নেমেছিল।
বাসেদ মোল্লা আরও বলেন, ভারতের মরিচ সামান্য পরিমাণে আমদানি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে দেশি মরিচের সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে হুট করে আবারও দাম বেড়ে গেল।
এনামুল হক নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, কাঁচামালের দাম সরবরাহের উপর ওঠানামা করে। ঈদের পর পর এক পাল্লা মরিচ ৩ হাজার টাকায় উঠেছিল। এখন অর্ধেকে নেমেছে।
রামপুরা কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী আমিরুল বলেন, কাঁচামালের দাম এমনই হয়। যখন বাড়ে, হুট করে বাড়ে। আবার যখন কমে আসে, তখন অন্য সব পণ্যের চেয়ে দ্রুত পড়ে যায়। কিন্তু এখন মরিচের চাহিদা অনেক। সেই তুলনায় সরবরাহ কম।
দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে কাঁচা মরিচের দামে অস্থিরতা চলছে। ঈদের আগে হঠাৎ কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। তখন দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর ঈদের ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় আবারো বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল। পরে গত রোববার থেকে আবারও মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। তাতে দাম কিছুটা কমলেও একদিন বাদে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে।
এদিকে মরিচের দাম বেশি হওয়াকে কৃত্রিম সংকট বলে দাবি করেছেন অনেকে। ফলে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সোমবার সারাদেশে বাজারগুলোতে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসব অভিযানে সারাদেশে ৫৩টি বাজারে ১৪৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।