খবর ৭১: ট্রাফিক পুলিশের গুলিতে ১৭ বছরের এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ফ্রান্স।
রোববার (২ জুলাই) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হেয়ছে, পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে। প্যারিস ছাড়াও মার্সেই, লিওঁ, পাউ, তুলুস, লিল শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক দালান ও পরিবহনে অগ্নিসংযোগ ও দোকানপাটে লুটপাট চালানো হয়েছে। সংঘর্ষে ২০০’র বেশি পুলিশ আহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভ মোকাবিলায় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করছে।
তবে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন পরিস্থিতি ‘শান্ত’ হয়ে আসছে বলে দাবি করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশংসা করে তিনি জানান, তাদের সঠিক পদক্ষেপের কারণে একটি ‘শান্ত রাত’ পার হয়েছে।
এদিকে, ফ্রান্সে অস্থিরতা অব্যাহত থাকায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর জার্মানি সফর স্থগিত করা হয়েছে। রোববার (২ জুলাই) তার জার্মানিতে যাওয়া কথা ছিল এবং সোমবার ও মঙ্গলবার লুডভিগসবার্গ, বার্লিন এবং ড্রেসডেন শহর পরিদর্শন করার কথা ছিল।
গত ২৬ জুন প্যারিসের তল্লাশিচৌকিতে ১৭ বছর বয়সী নাহেল নামের এক কিশোর পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নির্দেশনা না মেনে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই কিশোরকে গুলি করা হয়।
যে পুলিশ অফিসারের গুলিতে নাহেল মারা যান, তিনি তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছেকৃতভাবে খুনের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
নাহেলের মৃত্যু ফ্রান্সে বর্ণবাদ এবং সংখ্যালঘু জাতি-গোষ্ঠীর মানুষদের প্রতি পুলিশের বৈষম্যমূলক আচরণের ব্যাপারে ক্ষোভ উস্কে দিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ফ্রান্স।