খবর ৭১: রাজধানী থেকে উত্তরের পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশের গোল চত্বর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সরিজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যানবাহনের চাপ আরও বাড়ছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব টোলপ্লাজা ও সেতুর ওপরে যানবাহনের চাপ রয়েছে, ধীরগতিতে চলাচল করছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।
হানিফ পরিবহনের বাসচালক লাভলু মিয়া বলেন, সেতুর পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহন থেমে থেমে চলছে। দুই লেনের সড়ক থাকায় প্রতিবছর এমন দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
সোমবার রাত ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপরে দুর্ঘটনা ও বাস বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাত তিনটার পর ১০ থেকে ১২ মিনিট, চারটার পর প্রায় ১ ঘণ্টা ও সাড়ে পাঁচটা থেকে পৌনে ছয়টা পর্যন্ত সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এতে উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনের দীর্ঘ লাইন হয়।
এদিকে, সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে ঘরমুখী মানুষের। ভোগান্তি মাথায় নিয়েই পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটে চলেছেন লোকজন।
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বগুড়া যাচ্ছেন শহিদুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব রেলস্টেশন এলাকার বাসস্ট্যান্ডে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছিলেন। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে বাস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। তিনি বলেন, বাস পাচ্ছি না। বৃষ্টিতে পরিবার নিয়ে অপেক্ষা করছি বাসের জন্য। যেসব বাস আসছে সেগুলো থামে না। দুই-একটি যা থামে, তারা ভাড়া চাইছে বেশি।