খবর৭১ঃ
লাইভে কেঁদে কেঁদে যেসব কথা বললেন পরীমনি
চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ ও চিত্রনায়িকা পরীমনির দাম্পত্য কলহের ইস্যু এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে রীতিমত। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে শোবিজ পাড়ায়।
এর শুরুটা অবশ্য অভিনেতার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন অভিনেত্রীর কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ফাঁসের মধ্য দিয়ে। ভিডিওতে অভিনেত্রী নাজিফা তুষি, তানজিন তিশা ও সুনেরাহ বিনতে কামালকে দেখা যায়।
ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় অভিনেত্রী সুনেরাহ তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, এসব শরিফুল রাজের স্ত্রী (পরীমনি) করেছেন। তিনিই তাদের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফাঁস করেছেন।
এরপরই পরীমনি সংবাদমাধ্যমে জানান, তিনি ছবি ও ভিডিও ফাঁস করেননি। এমনকি জানান, তার স্বামী শরিফুল রাজ ১০-১৫ দিন ধরে তার সঙ্গে নেই। এ অবস্থায় ভিডিও ফাঁস কিছুতেই সম্ভব না বলেও জানান এ নায়িকা।
এরপরই রাজের সঙ্গে পরীমনির মতপার্থক্য প্রকাশ্যে আসে। সেই ঘটনার পর গত রোববার একটি জাতীয় দৈনিকের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন রাজ। পরিষ্কার করেন নিজের অবস্থান।
এরপরের রাতে একই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার পাশাপাশি রাজের অভিযোগ খণ্ডন করেন পরীমনি।
এক ঘণ্টার বেশি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে কয়েকবার কেঁদেও ফেলেন এ নায়িকা। বেশ কয়েকবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা যায় তাকে।
পরীমনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, আজ থেকে আমি রাজের বউ নই। আমি এই সম্পর্ক টেনে নিতে চাই না। রাজের উদ্দেশে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তিনি যেন তাকে ডিভোর্স দেন। সামনাসামনি বসে তাদের সম্পর্কের সুন্দর পরিসমাপ্তি চান, পরীমনি চান না লাইভে এসে তাকে এসব কথা বলতে হয়।
পরীমনি আরও বলেন, আমি মেয়েটা অন্যরকম। সাপের লেজে পা দিলে যেমন সে ছেড়ে দেয় না, তেমনি আমিও আমার লেজে পা দিলে চুপ থাকব না।
তিনি বলেন, রাজের ১০ বছরের বন্ধুরা আমার কাছের হওয়ার কথা। কিন্তু তারা যে রাজের বন্ধু, আমি জানতামই না।
আরও সময় দিলে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে পরী জানান, সেটা আর সম্ভব নয়। তিনি পাঁচ মাস সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে যখন হয়নি, তখন তাদের সম্পর্কের কার্যত ইতি ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।
পরীমনি বলেন, যেদিন ভিডিওগুলো রাজের অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড হয়, সেদিন মাঝরাতে তার সঙ্গে আমার কথা হয়। সেসময় সে বলেছিল সন্তান রাজ্যকে দেখতে আসতে চায় সে।
অভিনেত্রী বলেন, সে (শরিফুল রাজ) যদি রাজ্যকে দেখতে চাবে, তাহলে আমাকেই ফোন করতো। আমি কেন তাকে ফোন করব। ফোনটা আমি করেছিলাম। অন্য একটি কারণে। তোমাকে রাস্তা-ঘাটে দেখা যাচ্ছে। ও তো পাবলিক ফিগার, কম-বেশি অনেকেই চেনে। ওর যদি এমন কিছু হয় যেটা আমাকে হাইড করে করতে হয় বা প্রকাশ্যে আসলে ওর ইমেজ অনেক প্রশ্নবিদ্ধ হবে। ওর ফ্যামিলি হিসেবে আমিও অনেক প্রশ্নবিদ্ধ হবো। এসব কাজ ও (শরিফুল রাজ) কেন পাবলিকলি করে।
পরীমনি বলেন, সে কোথায় যায়, না যায়, কেউ একটা ছবি তুলে রাখলেই বা সিসিটিভি ফুটেজ ক্যামেরায় সহজেই শনাক্ত করা যায়। এসব তো বের করা খুবই সহজ বলে মনে হয় আমার কাছে। সেখান থেকে আমাকে কেউ যদি নক করে,ভাইয়াকে তো ওমুক ওমুক জায়গায় দেখা গেল। সেক্ষেত্রে ওকে আমি বললাম, দেখো, এতে তোমার ফ্যামিলির ওপরও ইমপ্যাক্ট পরে। যেটা গোপন, সেটা গোপনেই করো। সেটা কেন আমার কাছে আসছে। এটা তো খুবই খারাপ। যদি এসব করতেই হয়, স্ত্রী হিসেবে আমার অনেক খারাপ লাগবে। আমাদের ফ্যামিলি এবং সন্তান, কারো জন্য ভালো হবে না।