ভয়াবহ দাবদাহে পুড়ছে চীন

0
104

খবর৭১: বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলছে। ভয়াবহ গরমে রক্ষা পাচ্ছে না জল-স্থলের কেউই। তীব্র গরমে পানির তাপমাত্রা বেড়ে সিদ্ধ হয়ে মরছে চীনের গ্রামীণ জনপদের অসংখ্য খাল-বিলের মাছ। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় গুয়াংজি অঞ্চলের গ্রামবাসীর বরাতে বুধবার এ তাপদহন দশার চিত্র তুলে ধরেছে স্থানীয় দৈনিক ‘সাউথ অব চায়না টুডে’।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, গত মার্চ থেকে রেকর্ড ছাড়িয়েছে চীনের তাপমাত্রা। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চীনের ইউনান এবং সিচুয়ান প্রদেশে তাপপ্রবাহ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। রেকর্ড ব্রেকিং এ তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষসহ অবলা সব প্রাণীগুলোও।

প্রচণ্ড গরম নাড়িয়ে দিয়েছে চীনের অর্থনৈতিক অবস্থাকেও। কৃষক ও গবাদিপশু পালকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পূর্ব জিয়াংসু প্রদেশের একটি খামারে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দমবন্ধ হয়ে মারা গেছে শত শত শূকর। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জনপ্রিয় খাবার মশলাদার খরগোশের মাথা। সেখানেও নেমে এসেছে বিপর্যয়। উচ্চ তাপমাত্রায় খামারগুলোতে একে একে মারা যাচ্ছে অসংখ্য খরগোশ। এতে একদিকে যেমন ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে অন্যদিকে ঘাটতি থাকার কারণে চড়া দামে বাজার থেকে খরগোশ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আবহওয়ার চরম বৈরীভাব ফসলেরও ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। শুকিয়ে গেছে মাইলের পর মাইল ফসলের জমি।

মে মাসের শেষ সপ্তাহে, ফসল কাটার মাত্র কয়েকদিন আগে হেনান প্রদেশে গমখেত পুরোপুরিভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। সারা দেশের বিভিন্ন শহরে অবস্থিত ৫৭৮টি জাতীয় আবহওয়া স্টেশনগুলো বছরের এই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। সিটি সিকিউরিটিজের প্রধান কৃষি বিশ্লেষক শিং খাদ্য নিরাপত্তার হুমকি নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই খরা-আক্রান্ত হবে চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী ইয়াংজি।

দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ চাল উৎপাদনের মূল উৎসই ইয়াংজি। দক্ষিণে বন্যা, উত্তরে খরা, এবং উত্তর-পূর্বে শীত গ্রীষ্মের সৃষ্টি হবে।’ বছরের তীব্র তাপপ্রবাহ ও খরার পর বেইজিং খাদ্য নিরাপত্তার ওপর জোর দিচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here