খবর৭১ঃ
ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে পাঁচ বছর আগে। বর্তমানে তাদের মধ্যে যোগাযোগ থাকলেও সেটি শুধু ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের খাতিরে। সেই অপু বিশ্বাসই কিনা সদ্য দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বললেন, শাকিব খান থাকতে নাকি তার কোনো চিন্তা নেই।
দ্বিতীয় স্ত্রী শবনম বুবলীর সঙ্গে শাকিব খানের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ হওয়ার পর অনেকেরই ধারণা, ফের অপু বিশ্বাসের কাছে ফিরতে চলেছেন কিং খান। তাদের ভাঙা সংসার নাকি আবার জোড়া লাগতে চলেছে। ‘শাকিব খান থাকতে আমার কোনো চিন্তা নেই’ মন্তব্য করে সেই গুঞ্জনেই কি সিলমোহর দিলেন অপু বিশ্বাস?
আসলে ঘটনা তা নয়। অপু বিশ্বাস যেহেতু এখনো তার পেশাগত কাজ জারি রেখেছেন, তাই সন্তান জয়কে ফেলে প্রায়ই তাকে এখানে ওখানে ছুটতে হয়। যেতে হয় দেশের বাইরেও। অপু বিশ্বাস জানিয়েছেন, ওই সময়টা সন্তান জয় তার বাবা শাকিব খানের কাছে নিরাপদে থাকে। ফলে তিনি তার কাজটা নিশ্চিন্তে করতে পারেন।
এই নায়িকার কথায়, ‘সত্যি কথা বলতে, ‘এখন আমার কোনো টেনশন নেই। কারণ হচ্ছে, জয় এখন তার বাবার পরিবারে বেশি থাকে। আরও মজার বিষয় হচ্ছে, জয়কে নিয়ে আমি যতটা টেনশন করি, তার থেকে বেশি টেনশন করে তার বাবা শাকিব খান। এটা আমার জন্য আশীর্বাদ।’
অপু বিশ্বাস এও জানান, একটা সময় শাকিব খান সন্তান জয়ের কোনো খোঁজখবর নিতেন না। কিং খানের পরিবারের সঙ্গেও নায়িকার কোনো যোগাযোগ ছিল না। অপু বলেন, ‘এখন কোনো টেনশন নেই। আমি এখন কোনো টেনশন ছাড়াই দেশের বাইরে যেতে পারি। শাকিব থাকতে জয়কে নিয়ে আমার কোনো চিন্তাই নেই।’
এদিকে, সম্প্রতি দেয়া আরেকটি সাক্ষাৎকারে বিয়ের পর শাকিব খানের সঙ্গে কাটানো প্রথম ঈদের স্মৃতিচারণ করেন অপু বিশ্বাস। জানান, সে সময় শাকিব ছিলেন কাজের সূত্রে দুবাইতে। সেখান থেকেই স্ত্রীর জন্য তিনি গলার হার নিয়ে এসেছিলেন। যদিও হারটি সোনার নাকি হিরার ছিল, তা প্রকাশ করতে চাননি নায়িকা।
২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেছিলেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। দীর্ঘ ৯ বছর সে খবর গোপন ছিল। ২০১৬ সালে কলকাতায় গিয়ে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন অপু। গোপন ছিল সে খবরও। অবশেষে ২০১৭ সালের এপ্রিলে একটি টিভি চ্যানেলে হাজির হয়ে শাকিবের সঙ্গে তার বিয়ে ও সন্তান জন্মদানের কথা প্রকাশ করেন অপু।
ওই ঘটনাই কাল হয়ে আসে নায়িকার জীবনে। মাস চারেক পরই নানা অভিযোগ তুলে অপুকে তালাকের নোটিশ পাঠান শাকিব। তখন এই তারকা জুটির সংসার টেকাতে উদ্যোগ নেয় খোদ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। তারা তিন দফায় সালিশি বৈঠকও ডাকে।
কিন্তু প্রতিবারের সালিশে অপু বিশ্বাস উপস্থিত হলেও আসেননি শাকিব খান বা তার পরিবারের কেউ। অর্থাৎ, সংসার টেকানোর ব্যাপারে তাদের কোনো আগ্রহ ছিল না। অগত্যা নোটিশ পাঠানোর তিন মাস পর আইনগত ভাবে কার্যকর হয়ে যায় শাকিব-অপুর তালাক। ওই বছরই শাকিব বিয়ে করেন বুবলীকে। ভেঙেছে সে সংসারও।