খবর৭১: বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনের (নিষেধাজ্ঞা) বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
সম্প্রতি ত্রিদেশীয় সফর শেষে সোমবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা বলেন। সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ত্রিদেশীয় সফর শেষে দেশে ফিরে গত শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ৬০তম কনভেনশনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি আরেকটি সিদ্ধান্ত নিতে বলেছি। স্যাংশন দেওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি তাদের উপর দেওয়া হচ্ছে স্যাংশন! আমি বলে দিয়েছি, যে দেশ স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে তাদের কাছ থেকে আমি কিছুই কিনব না। আমি আর কী করব! বাবা-মা-ভাইবোন সবাইকে মেরে ফেলেছে। আমার তো হারানোর কিছু নেই। আমার দেশটিকে আমি এগিয়ে নিতে চাই।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে একজন সাংবাদিক জানতে চান এতে আমরা ভীত হব কিনা?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার- যারা আমাদের ওপর সেংশন দেবে, ওসব দেশের কাছ থেকে আমরা কিছুই কিনব না। অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে আমি এই সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, যারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু কেনাকাটা করব না। ভয়ের কিছু নেই, আমাদের সব জমি আবাদ করব, আমরা অন্যের ওপর নির্ভর করব না। আমরা নিজেদেরটা দিয়ে নিজেরা চলব।অনাবাদী জমি সব চাষ করে, যা আসে। বিশ্বব্যাপী খাদ্যের অভাব। উন্নয়নশীল না উন্নত দেশেও খাদ্যের সমস্যা। একটার বেশি টমেটো কেনা যাবে না, ছয়টার বেশি ডিম কেনা যাবে না। রোজায় তো কোনো হাহাকার শোনা যায়নি। কেউ কি আসছে, আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইতে? আসেনি। সবাই ইফতারের জন্য এগিয়ে এসেছে। আমাদের দল ও নেতাকর্মীদের এজন্য ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘কথা নাই বার্তা নাই, আমাদের নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখাবে, আমরা ভয় নিয়ে বসে থাকব। কেন? আমাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, আমাদের দেশের মানুষই নিজের দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করে।’
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা অংশ নেন।