খবর৭১: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে জাহাঙ্গীর আলমের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিনি মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর।
জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবী এম কে রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঋণ খেলাপির (সিআইবি) অভিযোগে রিটানিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল করে দেন। আপিলের পর বিভাগীয় কমিশনারও তা বহাল রাখেন। এর পর হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম।
এম কে রহমান বলেন, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে- তিনি তো ঋণ নেননি। তাই খেলাপিও না, ছিলেন জামিনদার। আর দুই দিন পর সিআইবি তালিকা স্থগিতও হয়। কিন্তু আদালতে ফাইন্ডিংস এসেছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ঋণ খেলাপির তালিকায় তার নাম ছিল। এ কারণে রিট সরাসরি খারিজ দেন আদালত। তবে জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, তিনি আপিল করবেন।
মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতা নিয়ে রোববার রিট করেন জাহাঙ্গীর। শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রিট খারিজ করে আদেশ দেন।
২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করে গত ৩০ এপ্রিল রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আপিল খারিজ করে ৪ মে বিভাগীয় কমিশনারের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গতকাল রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। রিটের ওপর শুনানি হয়।
জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, এম কে রহমান ও নকিব সাইফুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আজমত উল্লা খান। তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। জাহাঙ্গীর আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এদিকে সোমবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ৯ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।