খবর ৭১: ইউনিসেফ জানিয়েছে, করোনা মহামারির কারণে গত তিন বছর বিশ্বের ছয় কোটি সত্তর লাখ শিশু জীবন রক্ষাকারী টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ঘাটতি মিটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরা কঠিন হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
‘দ্য স্টেট অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস চিলড্রেন ২০২৩’ নামের এক প্রতিবেদনে ইউনিসেফ জানিয়েছে, করোনাকালে শিশুদের নিয়মিত টিকাদান সম্পর্কে মানুষ ধারণা বদলে গিয়েছিল। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে শিশুদের নিয়মিত টিকাদানে তারা যে সাফল্য অর্জন করেছিল তা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, ভুল তথ্য ও সরকারের প্রতি অনাস্থাও প্রভাব ফেলেছে টিকাদান কর্মসূচিতে। ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও টিকাদানে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল তা ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নিয়মিত টিকা দেয়া না গেলে হাম, ডিপথেরিয়াসহ প্রতিরোধ করা যায় এমন রোগে শিশুমৃত্যুর হার অনেক বেড়ে যাবে। আর একটা মহামারি আমরা হতে দিতে পারি না।’
শিশুদের টিকাদানে আস্থার বিষয়ে ৫৫ টি দেশে জরিপ চালিয়েছে সংস্থাটি। টিকার উপর আস্থা একেক দেশে একেক রকম। সামগ্রিকভাবে টিকায় গ্রহণযোগ্যতার পরিমাণ এখনো বেশি। ওই জরিপে উত্তরদাতাদের ৮০ শতাধিক শিশুদের জন্য টিকাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।
দেশভেদে টিকার আস্থার বিষয়টি ভিন্ন। যেমন ভারত, চীন ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে আস্থার ঘাটতি দেখা যায়নি। যদিও পাপুয়া নিউ গিনি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোতে ৪৪ দশমিক এবং ঘানা, সেনেগাল ও জাপানে এক তৃতীয়াংশের বেশি টিকা চুক্তি কমে গেছে।
যদিও পাপুয়া নিউ গিনি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোতে ৪৪ দশমিক এবং ঘানা, সেনেগাল ও জাপানে এক তৃতীয়াংশের বেশি টিকা চুক্তি কমে গেছে।
যদিও পাপুয়া নিউ গিনি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোতে ৪৪ দশমিক এবং ঘানা, সেনেগাল ও জাপানে এক তৃতীয়াংশের বেশি টিকা চুক্তি কমে গেছে।
দেশগুলোর সরকারকে ইউনিসেফ আহ্বান জানিয়েছে, টিকাদান কর্মসূচিকে যাতে তারা আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে অর্থায়ন বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে, যারা মহামারির সময় টিকা নেয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।