খবর ৭১: ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে ঢাকা-আরিচা ও আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এ দুই মহাসড়কে থেমে থেমে চলাচল করছে যানবাহন।
অন্যদিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহামড়কে গাড়ি স্থির হয়ে আছে। পরিবহনের ধীরগতি এবং তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষেরা।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে প্রান্তিক এলাকা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার যানজট দেখা গেছে। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর থেকে বাইপাইল হয়ে নবীনগর ত্রিমোর এলাকা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার যানজট বাঁধে। অন্যদিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে গাড়ির গতি ছিল মন্থর।
যানজটে ও অসহ্য গরমে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে যাওয়া হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে ইফতারের সময়। ইফতারের আগে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় যাত্রীরা অসহ্য গরমে ছটফট করেছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইফতার সেরেছেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা।
সপরিবারে কুষ্টিয়া যাচ্ছেন করিম। ঢাকায় একটি কারখানার ম্যানেজার তিনি। সঙ্গে স্ত্রী, ছোট্ট সন্তান ও বৃদ্ধ মা। একবার সন্তানকে বাতাস করছেন, আরেকবার মায়ের খোঁজ নিচ্ছেন। কখনো কখনো বাস থেকে নেমে দোকানে দৌড়াচ্ছেন পানি বা অন্য কিছু কিনতে।
পাশেই রাফিউল ফোন কলের উপরেই আছেন। রাফি একটি মার্কেটিং কোম্পানির জুনিয়র এক্সিকিউটিভ। রাত ১০টার মধ্যে বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। সড়কে যে জ্যাম কাল সকালে পৌঁছাতে পারবে কিনা তাই নিয়ে এখন অনিশ্চিতায়। একবার মাকে ফোনে বলছেন, ৩ ঘণ্টা হলো গাড়িতে চড়েছি, এখনো সাভার অতিক্রম করতে পারিনি। রাতে বাড়িতে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
রাতেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় যুক্ত হওয়ার কথা ছিল ওই যবকের। বার বার ফোনে বলছেন, জ্যামের যে অবস্থা কাল সকালের আগে বাড়ি পৌঁছানো সম্ভব হবে নারে!
অন্য আরেক ধরনের সমস্যায় পড়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। ফুটপাতের একেক জায়গায় মোটরসাইকেল আটকে আছে। সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেলের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা।
ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফি বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং। এটাকে মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ইতোমধ্যে পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হয়েছে। তাই বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে সড়কে একযোগে সবাই চলে এসেছে। এ কারণে অনেক জায়গায় বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে। এতে করে গাড়ির গতি স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর হয়েছে।