খবর ৭১: রমজানের ২৭তম দিন আজ (বুধবার)। ঈদের কয়েকদিন বাকি থাকলেও এরইমধ্যে ফাঁকা হয়ে গেছে রাজধানী। প্রধান সড়কগুলোতে আগের মতো চিরচেনা যানজট নেই। অনেক সিগন্যালে নেই পুলিশ, যেখানে আছে সেখানে বসে সময় পার করছেন।
অন্যদিকে রাজধানী থেকে বের হওয়ার মুখ গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান ও সদরঘাটে মানুষ ও গাড়ির চাপ কিছুটা বেশি।
ট্রাফিক পুলিশরা বলছেন, বিকেলে যানজট কিছুটা বাড়তে পারে। মানুষ শপিং করতে বের হবে। যারা উত্তরবঙ্গ হয়ে উত্তরাঞ্চল, সদরঘাট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাবেন তারা বিকেলে বের হবেন। সেই সময় রাস্তায় চাপ বাড়লেও জ্যাম হওয়ার শঙ্কা নেই।
রাজধানী ব্যস্ত সড়ক বিজয়সরণী মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন শওকত আলী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে রাস্তায় গাড়ির চাপ নেই। আমাদের কোনো সিগন্যাল আটকাতে হচ্ছে না। রাস্তা ফাঁকা হওয়ায় চালকরা নিজেরাই সিগন্যাল থামছে ও যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অন্যান্য বছর ঈদে এক বা দুইদিন আগে রাস্তা ফাঁকা হলেও এবার তিনি চারদিন আগেই ফাঁকা হয়ে গেছে।
ব্যস্ত আরেকটি সড়ক কারওয়ান বাজার মোড়। এই মোড়ে দায়িত্বপালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ মোড়ে সাধারণত ৭ জন সদস্য দুইজন সার্জেন্টের দায়িত্ব থাকলেও আজ দুইজন আছি, তাও বসে আছি। রাস্তায় গাড়ির চাপ নেই বললেই চলে। বিকেলে গাড়ির চাপ বাড়লেও আগের দিনের মতো জ্যাম হবে না।
এদিকে রাজধানী থেকে বের হওয়ার প্রধান টার্মিনাল, সায়েদাবাদ, গাবতলী, মহাখালী, সদরঘাট, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তানের রাস্তায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ বাড়ছে। বিকেলে এ চাপ আরো বাড়তে পারে বলে ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী শনি বা রোববার (২২ বা ২৩ এপ্রিল) দেশের মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আজ বুধবার পবিত্র শবে কদরের সরকারি ছুটি। সেই হিসেবে বৃহস্পতিবার সরকারি অফিস খোলা থাকার কথা। কিন্তু ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই ঈদুল ফিতরের আগে শেষ কর্মদিবস মঙ্গলবার। মানুষ টানা ৫দিন ছুটি পাওয়ায় ধীরে ধীরে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার বিকেল ও বুধবার সকাল থেকে বাড়ি যাওয়ার চাপ বেড়েছে।