খবর ৭১: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। তার বিরুদ্ধে করা ৫০ মামলায় তিনি বিভিন্ন সময়ে জামিন পেয়েছেন।
সর্বশেষে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মানহানি মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। এ জামিননামা কারাগারে পৌঁছালেই তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
তিনি বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর রুহরুল কবির রিজভী গ্রেফতার হন। এরপর ঢাকাসহ সারাদেশে ৫০টি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সব মামলায় তার জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এখন তার মুক্তিতে বাধা নেই।
গোপালগঞ্জের মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ২১ নেতাকর্মীসহ গোপালগঞ্জ জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি দেলোয়ার ও তার বাবা হাসেম সরদারের নাম উল্লেখ করে ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে রিজভী তাদের রাজাকার, পাকিস্তানিদের দোসর ও যুদ্ধাপরাধী বলে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সিআইডি।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীর সংঘর্ষ হয়। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
এ অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।
এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে আরও যেসব মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা ছিল, সেসব মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয়।