খবর৭১: চুয়াডাঙ্গায় শনিবার গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। এ ছাড়া হিট স্ট্রোক ও ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার সব স্থানে মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে। তারা যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির না হয়। সন্ধ্যার পর শরবত, পানি ও ফলমূল বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। স্ট্রোক, ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগীদের চিকিৎসায় বিশেষ ব্যবস্থা করার জন্য সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালে এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এরপর গত ৯ বছরে এত তাপমাত্রা আর রেকর্ড করা হয়নি এখানে। আজ বিকাল ৩টার দিকে জেলার এবং এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। টানা ১৩ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে এখানে। তীব্র দাবদাহে জেলার খেটে খাওয়া রোজাদাররা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান যুগান্তরকে জানান, তীব্র তাপ প্রবাহের মাত্রা হচ্ছে ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপ প্রবাহের এ মাত্রা অতিক্রম করেছে।
তিনি আরও বলেন, ১৩ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার এখানে দেশের ও মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এদিকে তীব্র গরমের কারণে হাঁসফাঁস অবস্থা সবখানে। কৃষক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে যায়। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে দাবদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন।