খবর৭১;ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণ সীমা কমালো বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি পর্যায়ে ৫০ লাখ ডলার কমিয়ে সর্বোচ্চ ২ কোটি ডলার ঋণসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে দেশের সব ব্যাংকে পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সদস্য মিলগুলো এখন থেকে ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে পণ্য আমদানিতে সর্বোচ্চ ২ কোটি ডলার ঋণ নিতে পারবে। এতো দিন এ সংগঠনের সদস্যরা সাধারণভাবে আড়াই কোটি ডলার নিতে পারত। আর করোনায় বিশেষ ছাড়ের আওতায় গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিন কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ ছিল।
এদিকে বিকেএমইএর সদস্য মিল এবং চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা রপ্তানিকারকদের ঋণসীমা কমিয়ে দেড় কোটি ডলার করা হয়েছে। আগে যা ২ কোটি ডলার ছিল। এছাড়া বাংলাদেশ ডাইড ইয়ার্ন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিওয়াইইএ) সদস্যদের দেড় কোটি ডলার থেকে এক কোটি ডলারে নামানো হয়েছে।
রপ্তানিকারকদের ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় কম সুদে ডলারে ঋণ দিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১৯৮৯ সালে গঠিত হয় ইডিএফ। ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ডলার নিয়ে ওই সময়ে গঠিত ইডিএফের আকার ধীরে ধীরে বাড়িয়ে ৭০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়। তবে এখন এই ঋণের সীমা ৬০০ কোটি ডলারের বেশি উঠতে দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে যে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ দিয়েছে, তার শর্ত হিসেবে রিজার্ভের অর্থের প্রকৃত হিসাব করতে সুপারিশ করেছে তারা। এর অংশ হিসেবে ধীরে ধীরে এই তহবিলের আকার ছোট করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সে জন্য রপ্তানিকারকদের ঋণের সীমা ৫০ লাখ ডলার করে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।’