খবর ৭১: রোজা শুরুর পর প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে।
মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। তবে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।
এদিকে গত কয়েকদিনের মতো রোববারও শেয়ারবাজারে ক্রেতা সংকট দেখা যায়। ক্রেতা সংকটে পড়ে র্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) আটকে থাকে লেনদেনের পুরো সময়জুড়ে।
ক্রেতা সংকটে পড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন করে আরও ১০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে। এতে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকে।
এমন বিপুল পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকার দিনে ডিএসইতে মাত্র ২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭২টির এবং ১৮৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট অমে ২ হাজার ২১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৮৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে বাজারটিতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনিক হোটেলের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ওরিয়ন ফার্মা, রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনেক্স ইনফোসিস, এডিএন টেলিকম, শাহিনপুকুর সিরামিক এবং আরডি ফুড।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪০টির এবং ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা।