খবর ৭১: রমজানের শুরুতেই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। তবে ঈদকে সামনে রেখে অধিকাংশ হোটেল, মোটেল-কটেজ ও রেস্টুরেন্ট মেরামত ও নতুন করে সাজসজ্জায় কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে অনেক কর্মচারীও ছাঁটাই করা হয়েছে।
জানা গেছে, সময়ের হিসেবে শেষ হয়েছে পর্যটন মৌসুম। তার ওপর এসেছে রমজান। রমজানের প্রথম দিন থেকেই কক্সবাজারে পর্যটকদের আনাগোনা কমেছে।। পর্যটন জোন কলাতলীর সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও কটেজে নেই কোনো বুকিং। পর্যটন জোনের খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ক্রেতা না থাকায় বেশির ভাগই বন্ধ রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী ওয়ার্ড বিচের ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী তৌহিদুর ইসলাম বলেন, রোজা শুরু হাওয়ার পর থেকে কক্সবাজার একদম পর্যটক নেই। গত তিন দিনে একটি কক্ষও ভাড়া দিতে পারিনি। তবে এই সময়ে রুমগুলো মেরামতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ ঈদের দিন থেকে পর্যটক আসতে শুরু করবে। এই এক মাসের লোকসান ঈদের ছুটিতে পুষিয়ে নিতে হবে।
শালিক রেস্তোরাঁর মালিক নাছির উদ্দীন বাচ্ছু জানান, এই মুহূর্তে কক্সবাজারে একদম পর্যটক নেই। অন্যান্য বছর কিছুটা পর্যটক থাকলেও এবারে একদম নেই। ঈদকে সামনে রেখে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
পর্যটক না থাকার এ সময়কে মেরামত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সাজ-সজ্জার মোক্ষম সময় হিসেবে নিয়েছেন হোটেল মালিকরা। আগামী মৌসুমের উপযোগী করতে এখন অধিকাংশ হোটেল-মোটেল-কটেজ ও রেস্টুরেন্ট মেরামত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সাজসজ্জার কাজ চলছে।
হোটেল আইল্যান্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল কবির পাশা বলেন, পুরো রমজান মাস পর্যটক আসবে না। ফলে বুকিং শূন্য থাকবে সব কক্ষ। এখন হোটেলকে নতুন রূপে তৈরির উপযুক্ত সময়। তাই হোটেলের কক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ফ্রন্ট ডেস্ক থেকে শুরু করে বাহ্যিক স্থানগুলোকেও নতুন করে সাজানো হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, স্বাভাবিকভাবে রমজান মাসে পর্যটক তেমন থাকে না। এবার পর্যটক শূন্যতা বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে সব ধরনের হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউসে বুকিং শূন্য রয়েছে।
শুধু হোটেল-রেস্টুরেন্ট নয়, রমজানের কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোও বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে সৈকত এলাকার ঝিনুক, আচার, ফিস ফ্রাই এবং কাপড়ের দোকানগুলোর ৯০ শতাংশ বন্ধ রাখা হয়েছে।
হোটেল-মোটেল কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, পর্যটক না থাকায় বহু হোটেল-কটেজ কর্মচারী ছাঁটাই করেছে। এতে পুরো রমজান ও ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের কষ্টে থাকতে হবে।