খবর৭১: ধাপে ধাপে তিনবার বৃদ্ধি করা হয়েছে চলতি মৌসুমের হজ নিবন্ধনের সময়। বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি নিবন্ধনের বর্ধিত সময়। গত ৭ মার্চ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তৃতীয় মেয়াদের পর নিবন্ধনের সময় আর বৃদ্ধি করা হবে না। ফলে তিন দফায় সময় বৃদ্ধি করেও নির্ধারিত কোটা পূর্ণ হচ্ছে না। ২০২৩ সালে হজের চুক্তি অনুযায়ী, খালি থাকছে প্রায় ২০ হাজার কোটা। ফলে এবার ১৬ শতাংশ কোটা খালি রেখে সৌদি আরবে হজ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
জানা যায়, সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রাক-নিবন্ধন করেছেন প্রায় আড়াই লাখ হজে গমনেচ্ছু। কিন্তু এখন চূড়ান্ত নিবন্ধনে এসে হজযাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েক ধাপে সময় বৃদ্ধি করলেও প্রাক-নিবন্ধনকারী অনেকে এখন নিবন্ধনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
তবে হজ এজেন্সিরা বলছে, এবার অনেক আগেই নিবন্ধন শুরু হয়েছে। তাই নিবন্ধনের সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পূরণ হবে নির্ধারিত কোটা। ৮ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন শুরু হয়েছে, বৃহস্পতিবার সময় শেষ হবে। এর মধ্যে তিন দফায় সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রাক-নিবন্ধন করা কয়েকজন হজযাত্রী জানান, হজে যাওয়ার জন্য র্দীঘদিন প্রাক-নিবন্ধন করে অপেক্ষায় ছিলেন তারা। কিন্তু এত টাকা খরচ করে হজে যাওয়ার সামর্থ নেই তাদের। তাই নিবন্ধন করেও হজে যাচ্ছেন না তারা।
চলতি বছর কোরবানি ও ব্যক্তিগত খরচ ছাড়া হজের প্যাকেজ ধরা হয়েছে সরকারিভাবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা আর বেসরকারিভাবে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক হিসেবে প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন আট হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।