খবর ৭১: অপেক্ষার পর মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১১ স্টেশন চালু হয়েছে। মেট্রোরেলের ৬ষ্ঠ ও সপ্তম স্টেশন হিসেবে এটি চালু হলো। বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে এই দুই স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে মেট্রোরেলের উদ্বোধনের দিন (২৮ ডিসেম্বর) উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও যাত্রী চলাচলের জন্যে খুলে দেওয়া হয়। এরপর একে একে খুলে দেওয়া হয় পল্লবী, উত্তরা সেন্টার ও মিরপুর-১০ স্টেশন।
আর মার্চের শেষ সপ্তাহে চালু হবে শ্যাওড়াপাড়া ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এ কথা জানিয়েছেন।
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশের সব কটি (নয়টি) স্টেশন চলতি মাসে চালু হয়ে যাবে। আর চলতি বছরের জুলাই থেকে পুরোদমে শুরু হবে মেট্রো ট্রেন চলাচল। ভোর থেকে মাঝরাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ট্রেন চলবে।
তিনি বলেন, উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়ায় স্টেশন দুটি এ মাসের মাসের শেষ সপ্তাহে যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে এবং আগামী জুলাই মাসে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ সেবা চালু থাকবে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল লাইন-৬ এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। স্টেশনের কাজ প্রায় শেষ। এক্সিট ও এন্ট্রির নির্মাণ কাজ চলছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। এ প্রকল্প সরকার হাতে নেয় ২০১২ সালে।
২৮ ডিসেম্বর এই পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলেও দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে।
এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বাড়তি অংশ যোগ হওয়ায় ব্যয় বাড়ে ১১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তখন সর্বোমোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী জাইকার অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ও সরকারি অর্থায়ন ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।