খবর ৭১: থাইল্যান্ডে চলতি সপ্তাহে বায়ু দূষণের কারণে অসুস্থ হয়ে ২ লাখ লোক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সঙ্গে ব্যাংকক শহর ক্ষতিকর কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়েছে পড়েছে। দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক মোটামুটি ১ কোটি ১০ লাখ লোক বাস করে। এ ছাড়া এটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে যানবাহনের ধোঁয়া, শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং খড়সহ কৃষি-ভিত্তিক নানা জিনিস পোড়ানো হয়েছে। এরই জেরে এখানকার বায়ু হলুদ-ধূসর রঙ ধারণ করেছে এবং এমন ধোঁয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে শহরটি।
থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বায়ু দূষণের ফলে বছরের শুরু থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আর মধ্যে প্রায় ২ লাখ মানুষ শুধুমাত্র গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
থাই জনস্বাস্থ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসক ক্রিয়াংক্রাই নামথাইসং গত বুধবার শিশু ও গর্ভবতী নারীদের ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। সেসময় তিনি জানান, যারাই ঘরের বাইরে যাবেন তাদের উচিত দূষণবিরোধী উচ্চমানের এন৯৫ মাস্ক পরা।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে এবং ফেব্রুয়ারির শুরুতে ব্যাংককে বায়ু দূষণ চরমে পৌঁছায়। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সেসময় শহর কর্তৃপক্ষ লোকেদের বাড়ি থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিল।
এএফপির বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর শহরের পরিবেশ উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাংককের গভর্নর নির্বাচিত হয়েছিলেন চ্যাডচার্ট সিট্টিপুন্ট। তবে শহরের বায়ু পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হয়নি।
গভর্নর সিট্টিপুন্টের মুখপাত্র একভারুন্যু আম্রপালা বলেছেন, চলমান পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে তারা আবারও অনুরূপ আরেকটি আদেশ জারি করতে দ্বিধা করবেন না। শহরের পরিচালিত নার্সারি স্কুলগুলোতে ছোট বাচ্চাদের সুরক্ষার জন্য বায়ু শোধনসহ বিশেষ ‘নো ডাস্ট রুম’ স্থাপন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া নিরীক্ষণের জন্য চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বলেছে, গত বুধবার ব্যাংককের ৫০টি জেলায় সবচেয়ে বিপজ্জনক পিএম-২.৫ কণার অনিরাপদ মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই কণা এত ছোট যে সেগুলো রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করতে পারে।