খবর ৭১: রেফারিকে অর্থ প্রদানের অভিযোগে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে রেফারি কমিটির প্রাক্তন সহ-সভাপতিকে অর্থ প্রদানের জন্য দুর্নীতির অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে। ক্লাবটির সাবেক সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তামেউ এবং সান্দ্রো রোসেলের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ দায়ের করেছে স্পেনের প্রসিকিউটররা।
কাতালান ক্লাবটির বিপক্ষে লা লিগার রেফারিদের টেকনিক্যাল কমিটির সহ-সভাপতি হোসে মারিয়া এনরিকেজ নেগ্রেইরার প্রতিষ্ঠান ‘ডিএএসএনআইএল নাইন্টি ফাইভ’-কে অনৈতিকভাবে প্রায় ১৪ লাখ ইউরো অর্থ প্রদানের অভিযোগ আগেই উঠেছে।
আগেই জানা গিয়েছিল, নেগ্রেইরার প্রতিষ্ঠানকে ২০১৬-২০১৮ এই তিন মৌসুমে অর্থ প্রদান করা হয়। ২০১৬ সালে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৭২৮ ইউরো, ২০১৭ সালে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৭৫২ ইউরো ও ২০১৮ সালে ৩ লাখ ১৮ হাজার ২০০ ইউরো প্রদান করা হয়েছিল।
নতুন তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নেগরেইরার কোম্পানি ‘ডিএএসএনআইএল নাইন্টি ফাইভ’-কে বার্সেলোনার পক্ষ থেকে সো মিলিয়ে ৭০ লাখ ইউরো দেয়ার অভিযোগও নাকি রয়েছে।
‘ডিএএসএনআইএল নাইন্টি ফাইভ’প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে খেলাধুলায় দুর্নীতি, ব্যবসায় দুর্নীতি, মিথ্যা প্রশাসন এবং বাণিজ্যিক নথিপত্র জাল করার অভিযোগ রয়েছে।
গত শুক্রবার অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করার পর প্রসিকিউটরদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সভাপতি রোসেল এবং বার্তামেউয়ের মাধ্যমে বার্সেলোনা আসামী নেগ্রেইরার সঙ্গে একটি গোপনীয় মৌখিক চুক্তিতে পৌঁছেছিলেন। যাতে করে রেফারি কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে অর্থের বিনিময়ে নেগ্রেইরা তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন। ম্যাচগুলোতে রেফারিরা বার্সেলোনার পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রতিযোগিতার ফলাফলের দিকে লক্ষ্য রাখার উদ্দেশ্যেই এমনটা করা হয়।’
প্রসিকিউটররা ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত করা অর্থপ্রদান বিষয়ে পর্যালোচনা করে এখন রোসেল, বার্তামেউ, গ্রাউ এবং সোলারের বিরুদ্ধেও অভিযোগগুলোর তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন এবং লা লিগা মামলার তথ্য এবং নথি উয়েফাকে সরবরাহ করেছে। ফিফাও এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারে।
বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি বার্তামেউ অভিযোগ অস্বীকার করে গত মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘বার্সা কখনোই রেফারি কেনেনি এবং প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেনি। এমনটা করার উদ্দেশ্য কখনোই ছিল না, ব্যাপারটি পরিষ্কার হওয়া উচিৎ। যারা বানিয়ে গল্প বলার চেষ্টা করছে, তাদের কথার আর বাস্তবতার মিল নেই।’