বিনোদন ডেস্ক
ভারতীয় বাংলা সিনেমার অন্যতম বাঙালি আবেদনময়ী অভিনেত্রী পাওলি দাম। অভিনয় করেছেন বলিউড সিনেমায়। বোল্ডনেসের কথা বললেও বঙ্গ তনয়া পাওলি দামকে ভুলে গেলে চলে না। ‘হেট স্টোরি’ সিনেমার জন্য সাহসী ফটোশুট করে বলিউডে চমক লাগিয়ে ছিলেন।
প্রায় ১৭ বছর আগে চলচ্চিত্রে পা রাখেন পাওলি দাম। কিন্তু তার এই শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না। অনেক বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছেন এই অভিনেত্রী। টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ‘কালবেলা’খ্যাত এই অভিনেত্রী।
কথার শুরুতে পাওলি দাম বলেন, ‘মেয়েটা কালো, নাকটা বাঁকা— আমি যখন অভিনয়ে আসি তখন এ দুটো প্রশংসা পেয়েছি। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। সেই সময়ে মানুষের ধারণা ছিল, যেসব মেয়েদের শরীরের রং ফর্সা কেবল তারাই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন। যার কারণে নায়িকার বোনের চরিত্র পেতাম। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাস হারাইনি। ‘কালবেলা’ সিনেমা মুক্তির পর মানুষ আমাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে শুরু করেন। আমার শরীরের রং আকস্মিকভাবে বদলে যায়! আমার অস্বাভাবিক চেহারাও আমার জন্য কাজ করে।’
যারা বডি শেমিং করেন তাদের উপদেশ দিয়ে পাওলি দাম বলেন, ‘যাদের টার্গেট বডি শেমিং করা তাদের জন্য আমার পরামর্শ— এসব বাদ দিয়ে নিজের লক্ষ্যে মন দিন।’
এখনো পাওলির শরীর নিয়ে মানুষ নানা রকম মন্তব্য করেন। তা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ওহ মাই গড! তুমি মুটিয়ে গেছো, এত ওজন বাড়িয়েছো কেন, এত মোটা হওয়ার পরও শর্ট ড্রেস পরেছো— এসব শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি। আমি মোটা না পাতলা হবো সেই সিদ্ধান্ত দেওয়ার তুমি কে? এ ধরনের বডি শেমিং নিয়ে আমি চূড়ান্ত রকমের বিরক্ত। কারো ওজন, শরীরের রং কিংবা উচ্চতা দেখে মানুষ কেন মানুষকে বিচার করে?’
একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পাওলি দাম বলেন, ‘আমার মেয়ের জন্মের পর আমার ওজন বেড়ে গিয়েছিল। এসময় ওজন বেড়ে যাওয়া যেকোনো নারীর জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এটা নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার কি অন্য কারো আছে? সেই সময়ে পরিচালকরা আমাকে বলেছিলেন, ওজন বেশি হওয়ার কারণে তারা আমাকে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ করাচ্ছেন না। এর কিছু দিন পর আমি ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নিই। কোনটি ভালো আর কোনটি মন্দ সেই সিদ্ধান্ত আমি নেব। অনেকে বলেন যে, আমার শরীর ঢেকে রাখা উচিত। কারণ আমার সেরকম ফিগার নেই। আমি তাদের নিন্দা করছি না। বরং আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি জানি কীভাবে ছোট পোশাক পরতে হয়।’