খবর ৭১: রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে আজ বুধবার (৮ মার্চ) প্রাথমিকভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। তবে, ভবনের বেজমেন্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বলে উদ্ধারকাজে ভেতরে ঢুকতে পারেননি উদ্ধারকারী দল। এদিকে নিখোঁজ প্রিয়জনদের ফিরে পাওয়ার আশায় সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন স্বজনরা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিতের কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক দিনমণি শর্মা।
দিনমণি শর্মা বলেন, ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ভবনের ভূগর্ভে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব নয়। তাই উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়েছে। সেনাবাহিনী বেজমেন্টের কাজ করবে। তারপর উদ্ধারকাজ শুরু হবে।’
বিস্ফোরণে আজ সকাল পর্যন্ত ১৮জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। তবে, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। ভোর হওয়ার পর থেকে স্বজনরা নিখোঁজদের সন্ধানে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের আশেপাশে ভিড় জমিয়েছেন। এখনও স্বজনদের আশা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির বেজমেন্টে আটকে থাকতে পারে অনেকে।
স্থানীয়রা জানায়, নর্থ সাউথ রোডের সাততলা ভবনটিতে বিস্ফোরণে বাংলাদেশ স্যানিটারি ও আনিকা এজেন্সি নামের দুটি দোকান রয়েছে। দুটি দোকানই স্যানিটারি সামগ্রীর। বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশ স্যানিটারির ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান ওরফে স্বপন ও আনিকা এজেন্সির মালিক মমিনুদ্দিন সুমনের খোঁজ এখনও মেলেনি। স্বজনদের ধারণা, দুজনই বেজমেন্টের ভেতর আটকে আছেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্থানের সিদ্দিক প্লাজায় ভায়াভহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন—নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর নদী (৩৫) ও তাঁর স্বামী মমিনুল (৩৮), বংশাল সুরিটোলার সুমন (২১), যাত্রাবাড়ীর শেখদির মনসুর হোসাইন (৪০), কেরানীগঞ্জ চুনকুটিয়ার রাহাত (১৮), চাঁদপুর মতলবের আল আমীন (২৩), কলাবাগান গ্রিন রোডের ইশহাক মৃধা (৩৫), বংশাল আলু বাজারের ইসমাইল (৪২) এবং কদমতলী মাতুয়াইলের মাইনুদ্দীন (৫০), হৃদয় (২০), ইদ্রিস মিয়া (৬০), আবৃত্তি বেগম (৭০), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), নাজমুল হোসেন (২৫) এবং সম্রাট।