ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় বিষাক্ত স্পিরিট পানে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে অনেকে গোপনে বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দিনগত রাতে তারা মারা যান।
মৃতরা হলেন- কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া নদীপাড়া এলাকার ভাংড়ী ব্যাবসায়ী জাহাঙ্গীর খাঁ (৩৬), একই এলাকার রিকশাচালক বিপুল দাস (৪৫) ও মধুগঞ্জ বাজার ঢাকালে পাড়ার রাজিব হোসেন (২৬)।
শুক্রবার (৩ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে পুলিশ তাদের লাশ মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে ঘটনার রাত থেকেই স্পিরিট বিক্রেতা (শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডের রেজা হোমিও হলের মালিক) রেজাউল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। সকালে তার হোমিও দোকান এবং মোবাইল সেটটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে শহরের নদীপাড়া ও ঢাকালেপাড়া এলাকার একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে গেলে ঘটনার সত্যতা মেলে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন, সকালে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর শুনে মৃতদের বাড়িতে যাই। ঘটনা সত্য। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মৃত জাহাঙ্গীর খাঁয়ের ছোট ভাই আলমগীর খাঁ বলেন, রাতে আমার ভাই অসুস্থ হলে গিয়ে দেখি শরীর ঘামছে। এর কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
বিপুল দাসের পুত্র লেগুনা চালক সজিব জানান, রাতে তার পিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে কালীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঝিনাইদহ সদরে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
অসুস্থ রাজিবকে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত তিন জনের পরিবারের সদস্যরা বিষাক্ত স্পিরিট পানে মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছেন।
কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সেকেন্দার আলী জানান, এ পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যুর বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। তবে স্থানীয়দের মুখে বিষাক্ত স্পিরিট পানে মৃত্যুর কথা ছড়িয়ে পড়লেও ময়নাতদন্ত ছাড়া সঠিকভাবে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না।
তিনি বলেন, এটা সত্য যে- আলামত দেখে কিছুটা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে বিষাক্ত কিছু পান করার কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।