খবর ৭১: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হওয়ার পরেই রাজনীতিতে ফেরার প্রসঙ্গ আসবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি খুব পরিষ্কার। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তারপর অন্যকিছু।’
মঙ্গলবার রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জাতীয়তাবাদী যুবদলের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে দেশ জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা নেই। তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পরিকল্পিতভাবে দেশের টাকা লুট ও পাচার করতে একের পর মেগা প্রকল্প গ্রহণ করছে।’ ‘আজকে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া, মূল্যস্ফীতি চরম আকার ধারণ করেছে’- এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানুষ চাল কিনতে পারেন না। ওএমএস বন্ধ করেছে। এখন কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রি করতে চায়। এর মাধ্যমে যাতে নতুনভাবে দুর্নীতি করতে পারে। আসলে এরা দুর্নীতিবাজ সরকার।’
‘সরকার আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে যে চুক্তি করেছে তাতে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো আদানিকে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সেই জন্য আমাদের একটি পথ,সেটি হলো আন্দোলন আন্দোলন এবং আন্দোলন।’
‘জনগণের যখন নাভিশ্বাস উঠছে তখন পিকনিক মুডে আছে সরকার এমন মন্তব্য করে’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আন্দোলনের মধ্যদিয়ে জীবন বাজি রেখে সরকারের পরিবর্তন করতে বদ্ধপরিকর।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। তবেই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।’
‘গণবিরোধী সরকারকে হটাতে যুগপৎ আন্দোলনে যুবদল আরও কঠোর ভূমিকা রাখবে’ বলে প্রত্যাশা করেন বিএনপি মহাসচিব।
এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কেন্দ্রীয় নেতা মামুন হাসান, নূরুল ইসলাম নয়ন, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, কামরুজ্জামান দুলাল, জাকির হোসেন নান্নু, ইসহাক সরকার, খন্দকার এনামুল হক এনাম, মশিউর রহমান মিশু, রুহুল ইসলাম মনি, গিয়াস উদ্দিন মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।