খবর ৭১: তুরস্কে আবারও ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মালাতিয়ায় এ ভূমিকম্প আঘাত হানে।
আল আরাবিয়া নিউজের প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে চারজনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও পরে তারা একজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে। ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি) বলেছে, তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার গভীরে। যদিও প্রাথমিকভাবে ইএমএসসি এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছিল। পরবর্তীতে তা সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে আফাদ বলেছে, ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে পরপর বড় দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই ৪৪ হাজার ২১৮। আর সিরিয়ায় ৫ হাজার ৯১৪ জন।
ওই ভূমিকম্পে তুরস্কের ১১টি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ৮৪ হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিগত শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে দেড় কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
তুর্কি কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, কমপক্ষে ৪ লাখ ১২ হাজার ইউনিট সম্বলিত ১ লাখ ১৮ হাজার ভবন ধসে পড়েছে কিংবা এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, সেগুলো ভেঙে ফেলা ছাড়া উপায় নেই।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট ওই এলাকায় দুই লাখ বাড়ি তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী মার্চ মাসেই শুরু হবে এসব ভবন নির্মাণ। তবে জাতিসংঘ বলছে, এসব অঞ্চলে অন্তত ৫ লাখ নতুন বাড়ি তৈরি করা প্রয়োজন।