খবর ৭১: মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণকাজের কারণে পূর্বাচলে আট লেনের এক্সপ্রেসওয়ের (৩০০ ফিট) তেমন ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মেট্রোরেলের এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক সচিব বলেন, ‘যে কোনো কাজ করতে গেলে কিছু সমস্যা হয়। মেট্রোরেল নির্মাণের কারণে পূর্বাচল ৩০০ ফিটের তেমন ক্ষতি হবে না। সামান্য ক্ষতি হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের এলাকায় কারও জমি নেওয়া হলে, কারও ভবন বা বাড়ি ভাঙা পড়লে তার জন্য অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। তার আগে কতটুকু ক্ষতি হবে, আমরা তা স্টাডি করি।’
আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘৩০০ ফিট রাস্তার দুই দিকে লাইট লাগিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কিন্তু রাস্তার মাঝখানে লাইট লাগানো হয়নি। আমাদের মধ্যে সমন্বয়ের কারণে এমনটি করা হয়েছে। মাঝখান দিয়ে মেট্রোরেলের লাইন যাবে বলেই ওখানে লাইট লাগানো হয়নি।’
ওই এলাকার ১২টি আন্ডারপাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সমন্বয় করেছি। শতভাগ অক্ষত রাখা যাবে না। সামান্য অংশে ক্ষতি হবে। কাজ শুরু হলেই দেখা যাবে, কতটা ভাঙা হচ্ছে। কয়টা আন্ডারপাস ভাঙা হবে, তা নিয়ে বসতে হবে।’
কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) সড়ক নির্মাণ করেছে রাজউক। ১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ ২০১৫ সালে শুরু হয়। এর সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। এ বছর প্রকল্পটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
এদিকে, বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের (এমআরটি-১ লাইন) নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে গত ২ ফেব্রুয়ারি। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অধীনে বাস্তবায়ন হতে চলা প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেলপথ মাটির নিচে নির্মিত হবে।