খবর ৭১: সাবেক মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। রোববার রাত ১০টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী খান বিষয়টি তথ্য নিশ্চিত করেছন।
মাত্র তিন দিন আগে নিজের নতুন দল তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধন পেয়ে আবার নতুন করে আলোচনায় এসেছিলেন আলোচিত এই রাজনীতিবিদ।
আক্কাস আলী খান গণমাধ্যমকে বলেন, স্কয়ার হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে নেওয়া হবে। সেখান থেকে আগামীকাল সোমবার সংসদ ভবনে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের জন্য নেওয়া হবে। পরে দোহারে সর্বসাধারণের সম্মান প্রদর্শন ও জানাজার জন্য নেওয়া হবে। সময়সূচি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরে জানানো হবে।
নির্বাচন কমিশন থেকে সবশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ‘তৃণমূল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন নাজমুল হুদা। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পরপর তিনবার ঢাকা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান ‘জাগো দল’ গঠন করলে নাজমুল হুদা যোগ দেন। পরের বছর বিএনপি গঠনের সময় ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা দলটিতে যুক্ত হন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তাকে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে নিয়েছিলেন। খালেদা জিয়াও দলের স্থায়ী কমিটিতে রেখেছিলেন হুদাকে।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারে তথ্যমন্ত্রী ও পরের মেয়াদে তিনি যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। ১/১১ পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। ২০১০ সালে ২১ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। তখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। বহিষ্কৃত হলেও তিনি বিএনপির দলীয় কাজ করতে থাকেন এবং ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল তার সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন তিনি। পরে সেই দল থেকে তাকেই বহিষ্কার করে ২০১৪ সালে এমপি হন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। এরপর বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়েন হুদা।