খবর ৭১: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, গণমাধ্যম দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তবে নিজেদের কাটতি বাড়ানোর জন্য গণমাধ্যম অনেক সময় টুইস্ট করে। টুইস্ট করা বাদ দিয়ে সত্য কথা বললে দেশের অনেক উপকার হবে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেট নগরের জিন্দাবাজারে একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে ‘বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশে একের পর এক বিদেশি কূটনীতিকের সফর প্রসঙ্গে দেওয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্য ‘টুইস্ট’ (অতিরঞ্জিত করা) করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি নিজেই।
ড. মোমেন বলেন, “বিদেশি কূটনীতিকদের বাংলাদেশে সফর প্রসঙ্গে আমি সাংবাদিকদের বলেছিলাম, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। বিদেশি কূটনীতিকরা এসেছেন আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে। কিন্তু সাংবাদিকরা আমার বক্তব্যকে লিখেছেন, ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে বিদেশি কূটনীতিকরা সফরে এসেছেন। এ বক্তব্য সবাই ‘টুইস্ট’ করেছেন। পাঠকপ্রিয়তা পেতে অনেকেই কোনো তথ্য যাচাই না করে শুধু টুইস্ট করে।”
তিনি বলেন, গণমাধ্যম ছাড়া চলা সম্ভব নয়। তবে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আরও সচেতন হবে। সত্য তথ্য প্রকাশ করলে জাতি উপকৃত হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মাইস্লাম রাজেশের পরিচালনা কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি) প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) এনামুল হাবীব, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মারুফ হাসান, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী, এলডিডিপির কমিউনিকেশন কনসালট্যান্ট জিল্লুর রহমান এবং ‘পরিপ্রেক্ষিত’র পরিচালক সৈয়দ বুরহান কবীর।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনির।